অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যকার বিদ্যমান ‘সমন্বিত অংশীদারিত্ব’কে ‘কৌশলগত অংশীদারিত্বে’ উন্নীত করার এক অপূর্ব সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এখন আমাদের মধ্যেকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরো নিবিড় ও সুদৃঢ় করে একটি ‘কৌশলগত অংশীদারিত্ব’ গড়ে তোলার এটাই আদর্শ সময়।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগ আয়োজিত ‘জাপানোলোজি ইন নিউ এরা’র ওপর দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক হাইব্রিড সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একথা বলেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাপানের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ২০১৪ সালে বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্ককে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে ‘সমন্বিত অংশীদারিত্বে’ উন্নিত করেন। বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী চলতি বছরের এপ্রিল মাসে জাপান সফরে যেতে পারেন।
মোমেন আরো বলেন, বাংলাদেশে কাজ করতে আসা জাপানী কোম্পানী বাড়ছে। জাপানেও বাংলাদেশীদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ছে। আর এ দুটিই শিক্ষার্থী ও তরুণদের জাপানী ভাষা, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধকে ভালভাবে জানতে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখছে।
তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগ এই দক্ষতা ও জ্ঞান অর্জনে একটি অত্যন্ত মূল্যবান প্লাটফরম দিতে সহায়কের ভূমিকা পালন করছে।
এ সময় ড. মোমেন জাপানি ভাষা, শিল্প, সংস্কৃতি ও জাপানের সুদীর্ঘ ও বর্ণাঢ্য ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে এখানে একটি অফিস খুলতে জাপান ফাউন্ডেশনের প্রতি আহ্বান জানান।
এ সময় মোমেন বাংলাদেশের শিল্প, সংস্কৃতি ও বর্ণাঢ্য ঐতিহ্য জাপানের কাছে তুলে ধরতে বাংলাদেশের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, সরকারি -বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরিও বক্তব্য রাখেন।
Leave a Reply